কক্সবাজারে ঘরে ঢুকে এক বিএনপি নেতাকে গুলি ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (৫ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার লিংকরোড বিসিক শিল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত বিএনপি নেতার নাম লিয়াকত আলী। তিনি সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুটি মোটরসাইকেলে চার যুবক এসে ঘরে ঢুকে লিয়াকতকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাত ১০টার দিকে লিয়াকতকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কক্সবাজার সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল্লাহ নুর বলেন, লিয়াকত আলী লিংকরোড এলাকায় চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় স্থানীয় সন্ত্রাসী আবদুল খালেকের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে শহর ও ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাশেদ উল্লাহ ও স্থানীয় যুবদল নেতা জয়নাল আবেদীন জানান, হামলাকারীরা লিয়াকতকে গুলি করার পাশাপাশি ঘরের এক নিরাপত্তাকর্মীর পায়ের রগ কেটে দেয়। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লিয়াকত আলীর প্রতিবেশী জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট তাহের আহমদ সিকদার বলেন, রাতের আঁধারে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী মেম্বারের ওপর কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে।
এদিকে আহত বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী জানান, হামলায় অংশ নেওয়া সন্ত্রাসী আবদুল খালেক, কুদরত উল্লাহ ও সাহাব উদ্দিনকে তিনি চিনতে পেরেছেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপি নেতা লিয়াকত আলীর সঙ্গে আবদুল খালেকের বিরোধ রয়েছে। দুজন পাল্টাপাল্টি মামলার আসামি। অতীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে আবদুল খালেকের স্ত্রী খুন হয়েছিলেন। লিয়াকত আলীকে গুলির ঘটনার পেছনে অন্য কিছু আছে কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরপর পুলিশ বিসিক এলাকায় পৌঁছে সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি এবং মামলাও হয়নি।